করম পুজো কে ঘিরে মাতোয়ারা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ

30th August 2020 3:04 pm বাঁকুড়া
করম পুজো কে ঘিরে মাতোয়ারা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : প্রকৃতির দেবী "করম পূজা" য় মাতলেন আদিবাসী কুড়মী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। সারা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তো বটেই বিশেষ করে  রাঢ় অঞ্চলে এই উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হয়। এই  সম্প্রদায়ের মানুষেরা "করম গাছ" কে দেবতা হিসাবে বিশ্বাস করে আসছেন সেই সভ্যতা সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে। সেই ধর্মীয় বিশ্বাস কে মাথায় রেখে দেবতা স্বরুপ "করম গাছ"এর পূজোর মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এর মধ্য দিয়ে এক দিকে যেমন প্রকৃতির আরাধনা হয় তেমনি এর মাধ্যমে ভাই বোনের মধ্যে ভাতৃত্ব বোধের ও বার্তা দেওয়া হয়। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, করম পুজোর কয়েক দিন  আগে পাঁচ, সাত অথবা নয় রকমের শষ্যের বীজ নদীর বালি এনে তাতে অঙ্কুর করার জন্য দেওয়া হয় একটি পাত্রে। এরপর করম পুজোর দিন করম গাছের একটি ডাল শুদ্ধাচার মেনে নিয়ে এসে করম দেবতার থানে পোঁতা হয়,ওই অঙ্কুরিত বীজ গুলিও সেখানে রেখে চলে পুজো অর্চনা। কুড়মী সম্প্রদায়ের মানুষের কথায়, আমাদের সভ্যতা কৃষি নির্ভর সভ্যতা। এই রকম পরবের মধ্য দিয়ে সেই কৃষি নির্ভর সভ্যতার সূচনা হয়ে বলে তাঁদের বিশ্বাস। এর মাধ্যমে প্রকৃতি দেবীর আরাধনা হয়। আমরা যে শস্য মাঠে রোপন করেছি তার ভালো ফলন পাওয়ার আশায় শস্যের বীজ দেবতার কাছে রেখে প্রার্থনা করা হয়, যুগযুগ ধরে এই রীতি পালিত হয়ে আসছে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।